ব্রয়লার বা সাদা মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগি এবং দেশি মুরগির দামও আগের তুলনায় কমেছে। কিন্তু ক্রেতার নাগালের মধ্যে আসেনি।
আর বাজারে গতকাল দেশি মুরগি ৫শ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে; কোরবানি ঈদের আগে এই মুরগির দাম ছিল কেজি ৬৩০ টাকায়। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজি ১৩০ টাকায়। ব্যাংকার মোহাম্মদ শওকত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা সাব-এরিয়া বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগি কিনেছি কেজি ১৫০ টাকায়। সেখানে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিল কেজি ৩শ টাকা এবং দেশি মুরগি কেজি ৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। আগের তুলনায় অনেক অনেক দাম কমেছে।
এই দামে মুরগি কিনে তিনি একটি স্ট্যাটাস দিলে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাননি। পরে খুচরা বাজারে যাচাই করে এই প্রতিবেদকের কাছে তথ্যের সত্যতা মেলে।
চট্টগ্রামের অন্য যেকোনো খুচরা বাজারের তুলনায় কাজির দেউড়ি খুচরা বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম একটু বেশিই। সেখানেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। আর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫৫ টাকায়।
দাম কমার কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ আনোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন মুরগির দাম কমেছে; ইদানীং বিয়ে-শাদি অনুষ্ঠান বেশি হচ্ছে। সেটি না হলে দাম আরো কমত।
বিগত রমজান শুরুর আগে হঠাৎ করে মুরগির দাম নাগালের বাইরে চলে যায় এবং রেকর্ড ছুঁয়ে যায়। দাম বাড়ার প্রতিযোগিতার একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই সরকারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে হস্তক্ষেপ করে।
ভোক্তা অধিকারের গোয়েন্দা তথ্যে ওঠে আসে মুরগি উৎপাদনকারী শিল্পগ্রুপগুলোর কারসাজির কারণেই বাজারে দাম চড়ে যায়। পরে মুরগি উৎপাদনকারী দেশের চারটি বড় শিল্পগ্রুপকে ডেকে পাঠায় ভোক্তা অধিকার। অধিদপ্তর জানতে চায় ১৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগি কেমনে বাজারে ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর চার শিল্পগ্রুপ মালিকদের উপস্থিতিতেই তাদের খামার থেকেই কেজি ১৯০ টাকায় মুরগি বিক্রির সিদ্ধান্ত দেয় অধিদপ্তর।
এরপর থেকেই বাজারে দাম কমতে শুরু করে ব্রয়লার মুরগির। কিছুদিন কম থাকলেও পরে আবারও বেড়ে যায় মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম কমে আসায় ভোক্তাদের স্বস্তি এসেছে।