জুন মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
গত ০৩ জুলাই মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর নীটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। জুনে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। আর অর্জিত হয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ৯০ শতাংশ কম। অন্যদিকে, জুলাই-জুন (২০২২-২৩) অর্থবছরে ওভেন পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। নীটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে ২৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। একই অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। জুলাই-জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, আর অর্জন হয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ০ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জুনে না হলেও ২২-২৩ অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। যদিও ফিগারটা খুব বড়ো নয়। তবে, এই দুঃসময়ের মধ্যে, এই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এটা অনেক বড় বিষয়। কিন্তু, এই অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খুব খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ, কীভাবে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে, সেটাও বুঝতে হবে।
তিনি আরও জানান, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়ার পরও আমাদের ক্যাপাসিটি (সক্ষমতা) ভালো, অনেক খালি রয়েছে। ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিয়েছি। তাহলে কীভাবে অর্জিত হল? আমাদের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে রপ্তানির ফিগারটা বড় দেখাচ্ছে। এরপর আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। সুতরাং, এসব মিলিয়ে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সুতরাং আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।