সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে আটক হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে।
এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করতে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তির জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিক পক্ষ।
এমভি আবদুল্লাহ মুক্তির সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে গতকাল রাতে কেএসআরএম গ্রæপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করার লক্ষ্যে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। ঈদের আগেই যত দ্রæত সম্ভব নাবিকদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে, সোমালিয়া উপক‚লে জলদস্যুদের হাতে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ আবদুল্লাহতে মজুদ খাবার পানি ফুরিয়ে আসছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুদ ছিল জাহাজে। ইতিমধ্যে নাবিকদের রেশনিং করে পানি সরবরাহের ধাপটি শুরু হয়েছে।
খাবারের বিষয়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজে পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে, তবে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এখন আবদুল্লাহ জাহাজে পানি রেশনিং করা হচ্ছে। নাবিকদের খাবার নিয়ে আশা করি সমস্যা হবে না। কারণ জাহাজে মজুদ খাবার ফুরিয়ে এলে জলদস্যুরা নাবিকদের খাবার সরবরাহ করে থাকে।
পানি সংকটের বিষয়ে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকের পরিবারের সদস্যরাও একই তথ্য জানিয়েছেন।
এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুদ ছিল। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুদ রয়েছে। এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। চট্টগ্রামের অন্যতম শিল্পগ্রæপ কেএসআরএম’র মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপক‚ল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।
সুত্র: পূর্বকোণ