সরবরাহ না থাকায় গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দেয়। শনিবার (২১ অক্টোবর) থেকে নগরীজুড়ে গ্যাস সংকট দেখা দিলেও গতকাল রবিবার সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করে।
গতকাল জামালখান, আসকারদিঘীর পাড়, চকবাজার, বাকলিয়া, ডিসি রোড, বহদ্দারহাট, নাসিরাবাদ, দেওয়ানবাজার, জিইসি, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, খুলশী, হালিশহর, আগ্রাবাদ, অলঙ্কার, বন্দর এলাকা, বিবিরহাট, অক্সিজেন, বালুচরাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ ছিল।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সংগ্রহ করে। তবে এ দুই টার্মিনালের মধ্যে সামিটের টার্মিনাল থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০-২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছে না তারা। এ কারণে চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান বলেন, ‘কেজিডিসিএল দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সংগ্রহ করে। এর মধ্যে সামিটের সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমরা এখন পাচ্ছি না। একটা লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলত গ্যাস সংকট শুরু হয়েছে। ধারণা করছি, আগামী কিছুদিন এ সংকট থাকবে। সামিটের সংযোগ প্রতিস্থাপনে কাজ চলছে। তবে দিনে গ্যাস সংকট দেখা গেলেও রাতে সংকট থাকবে না।’
কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, কেজিডিসিএলের মোট শিল্পকারখানা এবং গৃহস্থালির গ্রাহক ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট, যার ২৭০-৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট আসে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে। বাকি গ্যাস পাওয়া যায় সামিটের টার্মিনাল থেকে। তবে এখন সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি সার কারখানায় দেয়া হচ্ছে ৯০ মিলিয়ন ঘনফুট, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩৭ মিলিয়ন ঘনফুট এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বাকি গ্যাস আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহককে দেয়া হচ্ছে।