চট্টগ্রামে কপাল পুড়েছে দুই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর।
তারা হলেন- চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ সালাম ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও) আসনের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তারা দলীয় সিদ্ধান্তে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ দুটি আসন আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও) আসনে গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯ মে তিনি শপথ পাঠ করেন।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি এ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ২০২০ সালে মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল। তখন উপনির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন আহমদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে আওয়ামী লীগের এ দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও দুটি আসনে রয়ে গেছে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় থাকলে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের জয়ী হওয়াটা কষ্টকর হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।