নগরীতে যত্রতত্র রেস্টুরেন্ট বন্ধে শীঘ্রই অভিযানে নামবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও রেস্টুরেন্টের বিষয়টি আলোচনায় আসে। আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট এবং যেসব বাণিজ্যিক ভবনে রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা তদন্ত করবে সিডিএ। ইতোমধ্যে সিডিএ’র দুটি অথরাইজড জোনের নেতৃত্বে এ বিষয়ে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সার্ভের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী ও নগর পরিকল্পনাবিদ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী হাসান বিন শাম্স।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট, বহুতল ভবনের অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন, বাণিজ্যিক ভবনের অনুমোদন, অন্যান্য সংস্থার অনুমোদনের কাগজপত্র আছে কিনা এসব বিষয় জানতে সিডিএ’র দুটি অথরাইজড জোনের নেতৃত্বে সার্ভে কার্যক্রম শুরু করেছে। এ জরিপে ১০ তলার বেশি উচ্চতার ভবনগুলোর অগ্নিঝুঁকির ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হবে। তবে যেসব ভবনে রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেসব ভবন ১০ তলার কম হলেও সেখানে সার্ভে (জরিপ) পরিচালনা করবে সংস্থাটি। আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে সেখানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করলে তা বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়াও, সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে প্ল্যান বাতিল এবং উচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জানতে চাইলে সিডিএ’র অথরাইজড অফিসার-২ তানজিব হোসেন বলেন, নগরীর অনেকগুলো রেস্টুরেন্টের অনুমোদন নেই। আমরা প্রাথমিকভাবে জরিপ করছি কি পরিমাণ রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবং এরমধ্যে কোন কোন রেস্টুরেন্টের অনুমোদন রয়েছে। এত রেস্টুরেন্ট তো হুট করে বন্ধ করে দেয়া যায় না। আমরা সবাইকে প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে বলেছি। যারা তাৎক্ষণিক কাগজ দেখাতে পারেনি তাদের সময় দিচ্ছি।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শাম্স বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সার্ভে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মূলত যেসব ভবনে রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেগুলোতে যথাযথ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি, বিকল্প সিঁড়িসহ অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। এ জরিপে ১০ তলার বেশি উচ্চতার ভবনগুলোর অগ্নিঝুঁকির ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হবে। তবে যেসব ভবনে রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেসব ভবন ১০ তলার কম হলেও সেখানে জরিপ পরিচালনা করা হবে। সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে প্ল্যান বাতিল এবং উচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সুত্র: পূর্বকোণ