ইসরায়েলের পক্ষে এবার আবেগী বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েল নিয়ে নতুন করে মঙ্গলবার বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগী হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রতি দিয়ে বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইসরায়েলকে আরো সামরিক সহায়তা দেবে তার দেশ।
বাইডেন তার বক্তব্যে বলেছেন, হামাস ইসরায়েলে পুরো পরিবারকে হত্যা, নারীদের ধর্ষণের মতো নৃশংসতা চালিয়েছে। এছাড়া শিশুদের হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, “এটি হলো ট্র্যাজেডি, চূড়ান্ত পর্যায়ের নৃশংতা। আমরা ইসরায়েলের পাশে থাকবো, ইসরায়েলিদের সমর্থন জানিয়ে যাব; যারা অপূরণীয় ক্ষতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা ঘৃণা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখবো।”
তবে ইসরায়েলে হামাসের হামলার ব্যাপারে কথা বললেও— গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলা এবং শত শত বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ব্যাপারে একটি কথাও বলেননি বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন বক্তব্য দেওয়ার পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে হামাস। তারা বলেছে, বাইডেনের বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে হামাস। গাজাভিত্তিক এ গোষ্ঠী দাবি করেছে, বাইডেন এই বক্তব্যের মাধ্যমে ‘ইসরায়েলি সরকারের অপরাধ এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চালানো সন্ত্রাসবাদকে’ আড়াল করেছেন।
হামাস আরও বলেছে, বাইডেনের এ বক্তব্য ‘গায়ে আগুন ধরানোর মতো।’ এছাড়া তিনি এমন সময় এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন যখন ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বর্বর হামলা চালাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার বক্তব্যে আরও বলেছেন, হামাস হলো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যারা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ায় না।
বাইডেনের এ কথারও প্রতিবাদ করেছে হামাস। তারা বলেছে, “বাইডেন তার বক্তব্যে, বিশ্বের নাকের ডগায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চালানো ঠাণ্ডা মাথার গণহত্যার বিষয়টি উল্লেখ করেননি।”
এছাড়া হামাস মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, “তারা যেন তাদের অবস্থান নিয়ে আবারও ভাবে এবং ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী নিয়ে দ্বিমুখী নীতি পরিবর্তন করে।”
সুত্র: আল-জাজিরা