বিগত দেড়মাস ধরে গাজায় বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলিরা। বিশ্বনেতারা ও অন্যান্য রাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির সকল চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয় ইসরায়েল গতকাল।
কিন্তু এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির পরও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আগামীকাল শুক্রবারের আগে হামলা বন্ধ করবে না ইসরায়েল। কথামতো তাই এর আগে জিম্মি করা ব্যক্তিদের মুক্তি দেবে না ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসও। গতকাল বুধবার রাতে এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা।
ইসরায়েল সরকার ও হামাস গতকাল যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়ে একমত হয়। সে অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার থেকে গাজায় চার দিন ইসরায়েলি হামলা বন্ধ রাখার কথা ছিল।
এ ছাড়া চুক্তির আওতায় অন্তত ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ইসরায়েলের। পাশাপাশি গাজায় আরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে বলেও তারা জানান। বিনিময়ে হামাস তাদের জিম্মি থেকে অন্তত ৫০ জনকে মুক্তি দেবে বলে জানায়।
তবে ইসরায়েলের ওই কর্মকর্তা পরে জানান, শুক্রবারের আগে গাজায় হামলা বন্ধ করবেন না তাঁরা। এর কিছুক্ষণ আগে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাকি হানেগবি জানিয়েছিলেন, শুক্রবারের আগে হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া কাউকে মুক্তি দেওয়া হবে না। তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। হানেগবির বক্তব্যের কোনো ব্যাখ্যা দেননি ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। সেদিন ইসরায়েলে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মিও করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। হামাসের হামলার কিছুক্ষণ পরই গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। এর পর থেকে অব্যাহত হামলায় গাজার ১৪ হাজারের বেশি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।