গাজার ঘটনাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করে নিন্দা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিন্দা জানান তিনি। এ সময় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্ব ও জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় বেসামরিক মানুষদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। গাজায় ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এ সময় ফিলিস্তিনের সীমানা নিয়ে ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে জার্মানির মিউনিখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন- আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও তিনি বারবার আলোচনা করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
এদিকে, বৈঠকের পর এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা ইউক্রেনের শান্তির ফর্মুলা ছাড়াও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেই ফর্মুলা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ এবং বৈশ্বিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
সুত্র: উত্তরণবার্তা