জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তবর্তী মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত তিন মার্কিন সৈন্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ঘটনার কড়া জবাব দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার জর্ডানে নিহত মার্কিন সেনারা হলেন সার্জেন্ট উইলিয়াম জেরোম রিভারস (৪৬), বিশেষজ্ঞ কেনেডি ল্যাডন স্যান্ডার্স (২৪) এবং বিশেষজ্ঞ ব্রেওনা অ্যালেক্সসন্ড্রিয়া মফেট (২৩)। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত গ্রুপগুলোকে দায়ী করেছে এবং পেন্টাগন বলেছে, তারা হিজবুল্লাহর ‘পদচিহ্ন’ অনুসরণ করেছে। হোয়াইট হাউসের করাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলার দায় চাপিয়েছেন ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির উপর।
এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেছেন, “আমরা এখনও এ হামলা-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছি। তারপরও আমরা জানি, সিরিয়া ও ইরাকে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইরান-সমর্থিত মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো এ হামলা চালিয়েছে।”তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এ হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের সবাইকে আমরা সময়মতো আমাদের পছন্দমতো কায়দায় জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।”
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন। তবে, কবে ও কোথায় হামলা চালানো হবে তার কোনও ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেছেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং আমাদের বাহিনীর ওপর হামলার জবাব দেব।”
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনটি ইরানের তৈরি বলে মনে হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই ড্রোনটি ‘শাহেদ ড্রোনের মতো’। একমুখী এই হামলার ড্রোনটি ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে সরবরাহ করছে ইরান। তবে এ হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান।এই তিন মার্কিন সেনা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট মুরে অবস্থিত একটি সেনা রিজার্ভ ইউনিট থেকে জর্ডানে এসেছিলেন।
সুত্র: উত্তরণবার্তা