মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম বিতর্কে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর চাপের মুখে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
জোরালো হচ্ছে নির্বাচনী দৌড় থেকে তার সরে দাঁড়ানোর দাবি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের পাশাপাশি খোদ দলীয় নেতা আর অর্থদাতারাও বাইডেনের বয়স ও স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে, বিকল্প খুঁজছেন ডেমোক্র্যাটরা।
রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রথম প্রেসিডেনসিয়াল বির্তকে বারবারই কথার খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ৮১ বছর বয়সী জো বাইডেন। আটকে যাচ্ছিল তার কথা।এরআগে বেশ কয়েকবার মঞ্চে ও সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে পড়েও গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক এই প্রেসিডেন্ট।
এ অবস্থায় নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বয়স, স্বাস্থ্য ও মানসিক সক্ষমতার বিচারে বাইডেনের প্রার্থীতা এখন প্রশ্নের মুখে। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, অর্ধেকেরও বেশি মার্কিন ভোটার বাইডেনের বিকল্প প্রার্থী চান।
নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ডের পর আটলান্টা জার্নাল, ফিলাডেলফিয়া ইনকোয়েরারসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম এরইমধ্যে বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
খোদ নিজ দলেও সমালোচনার মুখে বাইডেন। বারাক ওবামাসহ অনেক শীর্ষ নেতা তার পক্ষে দাঁড়ালেও অনেকেই উদ্বিগ্ন। অনেকেই বিকল্প প্রার্থীর কথা ভাবছেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী বাইডেন নিজে থেকে সরে না দাঁড়ালে প্রার্থী নির্বাচন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যদিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এরইমধ্যে বাইডেনের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে। এরমধ্যে রয়েছেন কমলা হারিস, মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শ্যাপিরো, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসম, জর্জিয়ার সিনেটর রাফায়েল ওয়ারনক ও বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামাসহ আরও অনেকে।
বাইডেনের দুর্বল পারফরমেন্সে উদ্বিগ্ন ডোনাররাও। সংকটের মুখে পড়তে পারে প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ। যদিও নিজের বয়স ও স্বাস্থ্যগত দুর্বলতার কথা স্বীকার করেও ট্রাম্পকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাইডেন। জয়ের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন বড় অর্থদাতাদের।
সুত্র: উত্তরণবার্তা