দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আবারও বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গত শনিবার গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ভয়াবহ হামলার মুখে পড়ে ইসরায়েলি সেনারা। প্রাপ্ত খবরে জানা যায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে অনন্ত ১৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড দাবি করেছে, গত কয়েক ঘণ্টায় সংঘর্ষে তারা অন্তত ১৪ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে। দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আজজুম রিপোর্ট করেছেন, গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, ইসরায়েলের সাথে শহরের সীমান্তের নিকটবর্তী পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসের আজ-জানানা জেলায় নয়জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত সেনাদের সরিয়ে নিতে তিনটি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাল এলাকায় ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামাসের দায় স্বীকার করা আরেকটি হামলায় ইসরায়েলের তিনটি মারকাভা ট্যাংকে আঘাত হানে। এতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, শনিবার মধ্য গাজায় ৪০১তম ব্রিগেডের ৪৬তম ব্যাটালিয়নের দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকার এই এলাকায় কয়েক মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকেই এখানে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। কিন্তু এখনো ঘন বসতিপূর্ণ এই এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তবে ইসরাইলি বাহিনী এখনো তাদের হতাহতের ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি।
এদিকে যুদ্ধ ষষ্ট মাসে পড়ার ফলে ইসরাইলে পণবন্দীদের মুক্তির দাবিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দেয়ার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।