টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ। ২০টি দলকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এবারের আসর।
৪টি গ্রুপ থেকে ২টি করে, অর্থাৎ মোট ৮টি দল গ্রুপ লিগের বাধা টপকে সুপার এইট রাউন্ডে প্রবেশ করেছে। ১২টি দল ছিটকে গেছে প্রথম রাউন্ড থেকেই। আপাতত দেখে নেওয়া যাক, দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা কোন দল গ্রুপ লিগ থেকে কত টাকা করে পুরস্কার মূল্য নিশ্চিত করেছে।
প্রথমত, ৯ থেকে ১২ নম্বর স্থানে থেকে প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যাওয়া দলগুলো ২৪৭,৫০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা করে পাচ্ছে। এই সারিতে জায়গা পেয়েছে পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।
১৩ থেকে ২০ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা প্রতিটি দল ২২৫ হাজার ডলার পাবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই সারিতে রয়েছে কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নমিবিয়া, ওমান, উগান্ডা, পাপুয়া নিউগিনি, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। এ ছাড়া গ্রুপের প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দলগুলোর ক্ষেত্রে বরাদ্দ থাকছে ৩৬ লাখেরও বেশি করে।
যে ৮টি দল সুপার এইটে উঠেছে, তারা ইতোমধ্যে ৩ কোটির বেশি অর্থ পুরস্কার মূল্য নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় রাউন্ডে কোনও ম্যাচ না জিতলেও এই টাকা তারা পাবেই। যারা সুপার এইটের গণ্ডি পেরিয়ে সেমিফাইনালে উঠবে, তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে আরও বেশি আর্থিক পুরস্কার।
ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে ৩ কোটির বেশি পুরস্কার মূল্য নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে প্রতি ম্যাচ জয়ের ৩৬ লাখ টাকা করে যোগ করে দেখে নেওয়া যাক, গ্রুপ লিগের বাধা টপকানো কোন দল সব থেকে বেশি আয় করেছে।
অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপ লিগের চারটি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে। সুতরাং, তারা ম্যাচ জয়ের বোনাস হিসেবে পেয়েছে (৪x৩৬) ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেই তারা নিশ্চিত করেছে প্রায় ৩ কোটির মতো। সুতরাং, প্রথম রাউন্ড থেকে এই তিন দলের আয় সাড়ে ৪ কোটির ঘরে।
ভারত গ্রুপ লিগের ৩টি ম্যাচ জিতেছে এবং তাদের ১টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। সুতরাং, ম্যাচ জয়ের বোনাস হিসেবে টিম ইন্ডিয়া পাচ্ছে প্রায় কোটি টাকা। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে তারা নিশ্চিত করেছে আরও তিন কোটির মতো। সব মিলিয়ে গ্রুপ লিগ থেকে ভারতের আয় চার কোটির বেশি।
আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ গ্রুপ লিগের ৩টি করে ম্যাচ জিতেছে। সুতরাং, প্রথম রাউন্ড থেকে তাদের আয় চার কোটির বেশি। অন্যদিকে, আমেরিকা ও ইংল্যান্ড গ্রুপ লিগে ২টি করে ম্যাচ জিতেছে এবং তাদের ১টি করে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। সুতরাং, প্রথম রাউন্ড থেকে এই দু’দলের আয় পৌনে চার কোটির মতো।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের জন্য এবার রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি। সর্বমোট প্রাইজমানি ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। আগের আসরে সেটা ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত আসরের চেয়ে এবার প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি। এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় তারা পাবে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্সআপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে জয়ের জন্য প্রতি দল পাবে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৩৬ লাখ টাকা।