এক এক করে ত্রিশ বছর পার হয়েছে। ডিয়েগো ম্যারাডোনা নিজেও পাড়ি জমিয়েছেন অন্যলোকে।
তবু ইতালির আদালতে চলেছে মামলা। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ফুটবলার নির্দোষ, এমনটা প্রমাণ করতেই পার হয়ে গিয়েছে তিনটি দশক। অবশেষে ইতালির আদালত জানাল, ম্যারাডোনা নির্দোষ ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে নেপলসে থাকাকালে কখনোই কর ফাঁকি দেননি তিনি।
জীবনের মঞ্চে আর ফুটবলের মাঠে বারবার জিতে আসা ম্যারাডোনা এবার জয় পেলেন পরপারের জগত থেকেও। রায়ের পর তার আইনজীবী অ্যাঞ্জেলো পিসানি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটা শেষ হলো। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, ম্যারাডোনা কখনোই কর ফাঁকি দেননি।’
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত নাপোলিতে থাকা অবস্থায় তিনি লিখটেনস্টাইনের প্রক্সি কোম্পানি ব্যবহার করে ক্লাবের কাছ থেকে পাওয়া ইমেজ স্বত্বের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে এই মামলা করা হয়। এরপর থেকে টানা চলেছে বিচারিক কার্যক্রম। যদিও শেষ পর্যন্ত এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
অবশ্য ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি অভিযোগে তদন্ত শুরু হয় ১৯৯০ সালে। মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগও পরবর্তীকালে সামনে আনা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় ইতালি সফরকালে ম্যারাডোনার বেশ কিছু সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
অবশ্য, এ মামলার নিষ্পত্তির আগেই ২০২০ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি। তবু থামেনি মামলার কাজ। ২০২৩ সালে এসে অবশেষে নিষ্পত্তি হলো সবকিছুর।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে আসেন ম্যারাডোনা। তার হাত ধরেই রাতারাতি বদলে যায় নেপলস শহরের ক্লাবটি। ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ সালে নাপোলিকে লিগ শিরোপা এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে উয়েফা কাপ জেতান এই কিংবদন্তি।