১২ ম্যাচের মধ্যে ১ জয়। টানা ১১ হারে বিপিএলে লজ্জার রেকর্ড। ম্যাচ শেষে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
এতকিছুর মধ্য দিয়েই সবার আগে বিপিএল শেষ করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। আসরের শেষ ম্যাচেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ১০ রানে হেরেছে তারা। সবার আগে আসর শেষ করায় আক্ষেপ ঝরেছে ঢাকার বিদেশি ক্রিকেটার অ্যাডাম রসিংটনের কণ্ঠে।
তবে বিষ্ময়কর ব্যাপার, টুর্নামেন্টের রবিন রাউন্ড পদ্ধতির শেষদিকে এসে ব্যক্তিগত সাফল্যে সবার ওপরে আছেন ঢাকার তারকারাই। আসরের সেরা পাঁচ রানসংগ্রাহকের তালিকায় দুজন আছেন ঢাকার তারকা। আর সেরা বোলারের তালিকাতেও আছেন দুজন। মোট ১২ বিদেশীকে দলে টানলেও মোটাদাগে সকলেই ছিলেন ব্যর্থ। যার ফলে ঢাকাও বদায় নিয়েছে আগেভাগেই।
এখন পর্যন্ত এবারের আসরের ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রান ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান তারকা অ্যালেক্স রসের। ১১ ম্যাচ খেলে দুর্দান্ত ঢাকার এই ব্যাটার করেছেন ৩৫২ রান। গড়ে ৩৯.১১ রান এসেছে প্রতি ম্যাচে। স্ট্রাইকরেটও নেহাত মন্দ না। ১৩৫ এর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। ফিফটি আছে ৪টি। দলের বাকিদের সঙ্গ পেলে ঢাকাকেও হয়ত জেতাতে পারতেন কয়েকটি ম্যাচে।
৯ ইনিংসে ৩৪১ রান করা তাওহিদ হৃদয় আছেন এরপরেই। গড় বা স্ট্রাইকরেটে আসরের বাকিদের চেয়ে ঢের এগিয়ে তিনি। ১৬০ স্ট্রাইকরেট আর ৪৮.৭১ গড় জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে রেখেছে টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে। এরপরেই আছেন ঢাকার আরেক ব্যাটার নাইম শেখ। দীর্ঘদিন রানখরায় থাকা নাইম এবারের বিপিএলে উপহার দিয়েছেন দারুণ কিছু ইনিংস।
১২ ম্যাচে ৩১০ রান করা নাইম শেখ ব্যাট করেছেন ১১৯.৬৯ স্ট্রাইকরেটে। খুব একটা মন্দ বলা যায় না বিপিএলের মানদণ্ডে। তবে ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চিতভাবেই পোড়াবে তাকে।
বোলারদের তালিকায় শীর্ষে ঢাকার শরিফুল ইসলাম। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সেরার তালিকায় ভালোভাবেই টিকে আছেন তিনিও। ২২ উইকেট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে শরিফুল। এরপরেই আছেন রংপুরের দুই স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান এবং সাকিব আল হাসান। মেহেদির উইকেট ১৫টি। আর সাকিবের উইকেট ১৩টি। সাকিবের সমান উইকেট পেলেও ম্যাচ বেশি খেলেছেন ঢাকার অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। ১৩ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে।