অলিম্পিককে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। মাল্টি স্পোর্টসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে ‘সেক্স’ নাকি অবিচ্ছেদ্য অংশ! আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে প্যারিসে শুরু হবে বৈশ্বিক ক্রীড়ার মহাযজ্ঞ।
সর্বশেষ অলিম্পিকের আসর বসেছিল ২০২১ সালে জাপানে। তবে ওই সময় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকায় অলিম্পিক ভিলেজে থাকা অ্যাথলেটদের অন্তরঙ্গ হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
যে কারণে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ বিছানা। যে বিছানায় প্রতিযোগীরা যৌনতায় লিপ্ত হতে পারবেন না। এ বছর প্যারিস অলিম্পিকেও থাকছে একই বিছানা। তিন বছর আগে টোকিওতে এই ধরনের বিছানা থাকায় আপত্তি করেছিলেন প্রতিযোগীরা। তাদের অভিযোগ, এই ধরনের বিছানায় স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব রয়েছে। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজকরাও সে দিকে কান দেননি।
অস্ট্রেলিয়ার টেনিস তারকা ডারিয়া সাভিলে এবং এলেন পেরেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তারা গেমস ভিলেজের বিছানা কতটা পোক্ত তা পরীক্ষা করে দেখেছেন। সাভিলেদের দেখা যায় বিছানার ওপর লাফাতে, অনুশীলন করতে। তারা ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘গেমস ভিলেজে কার্ডবোর্ডের তৈরি বিছানা পরীক্ষা করে দেখছি।’
আয়ারল্যান্ডের জিমন্যাস্ট রাইস ম্যাকলেনাঘানও তার বিছানা পরীক্ষা করেছেন। তিনিও বিছানার ওপর লাফান। মাটিতে থেকে লাফিয়ে ওঠেন বিছানায়। তিনি বলেন, ‘গতবারও আমি বিছানা পরীক্ষা করেছিলাম। সে বার আমার পরীক্ষায় পাশ করেছিল এই বিছানা। সে বার হয়তো আমি খুব বেশি কঠিন পরীক্ষা নিইনি।’ তারপরেই বিছানা পরীক্ষা করেন আইরিশ প্রতিযোগী। অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘প্যারিস অলিম্পিকে ‘যৌনতা বিরোধী বিছানা’র খবর অসত্য।”
নো সেক্স বেড?
অলিম্পিক ভিলেজে অ্যাথলিটদের জন্য কার্ডবোর্ডের তৈরি বিছানা দেওয়ার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে যে “রটনা” তা আসলে সঠিক নয় বলে দাবি কোনো কোনো অ্যাথলিটের। কিছু প্রতিযোগীর মধ্যে সন্দেহ যে তাদের শোবার জন্য কার্ডবোর্ডের তৈরি বিছানা দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য যাতে তারা ঘরে সঙ্গী আনতে না পারেন এবং বিছানায় যৌন সংসর্গ করতে না পারেন। বলা হচ্ছে কার্ডবোর্ডের বিছানাগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে একজনের বেশি মানুষের ভারে তা ভেঙে পড়বে।
তবে বিছানা প্রস্তুতকারকদের দাবি তাদের তৈরি এই বিছানা ২০০ কেজি পর্যন্ত ওজন নিতে পারবে। অলিম্পিকে কোনো প্রতিযোগীর ওজন সম্ভবত এর চেয়ে বেশি না।