নানা কারণেই এবারের বিশ্বকাপটা দুঃস্বপ্ন হয়েই থাকবে পাকিস্তানের সমর্থকদের জন্য। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে ভিসা জটিলতায় পড়তে হয় তাদের। ভারত-পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিও মাঠে বসে দেখতে পারেননি বাবর আজমদের দেশের সমর্থকরা। মাঠে নামাজ পড়া নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি পাক উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ইতোমধ্যে তার ব্যাপারে আইসিসিতে নালিশ জানিয়েছেন এক ভারতীয় আইনজীবী। তবে এবার যা ঘটেছে তা বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বিরল ঘটনা।
প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে গ্যালারিতে স্লোগানের ঝড় উঠবে। এটাই তো স্বাভাবিক ও পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু নিজের জন্মভূমি পাকিস্তানের জন্য গলা ফাটাতে গিয়ে একজন পাক সমর্থককে বেঙ্গালুরু পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এমন ঘটনা ঘটেছে। ম্যাচ চলার সময় বাবর আজমদের দেশের সমর্থক ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’স্লোগান তুলেছিলেন। তাকে স্লোগান দিতে বাধা দেওয়া পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।
কী ঘটেছিল?
সোশাল মিডিয়ায় ৪৫ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, গ্যালারিতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছিলেন এক পাক সমর্থক। তাকে হঠাৎ করেই ওই স্লোগান দিতে নিষেধ করেন দায়িত্বরত এক পুলিশ। এরপর ওই পাক সমর্থক তাকে স্লোগান দিতে বাধা দেওয়া পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান।
পাকিস্তানের জার্সি পরা ওই সমর্থক পুলিশকে বলছেন, ‘আমি পাকিস্তান জিন্দাবাদ কেন বলতে পারব না? আমার পাশেই তো একজন ভারত মাতা কি জয় বলছে। তাহলে আমি কেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে পারি না?’ সেই সময় ওই পুলিশ পাক সমর্থককে বলেন, ‘ভারত মাতা কি জয় বলা ঠিক আছে। কিন্তু পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা যাবে না।’
এরপর পাকিস্তানি সমর্থক ওই পুলিশকে জানান, তিনি পাকিস্তান থেকে এসেছেন। অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তানের ম্যাচ হচ্ছে, তাহলে কেন ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলা যাবে না? এরপরই সেই সমর্থক বলেন, তিনি পুরো বিষয়টা ভিডিও করতে চান এবং তিনি পুলিশকে বলেন এর আগে তিনি তাকে যা বলেছেন, সেটা আবার বলতে। সেই সময় ওই পুলিশ প্রথমে কিছু বলেননি। তারপর কিছু একটা বলতে বলতে জায়গা থেকে সরে যান।
পাকিস্তানের সমর্থকরা বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর আগে আহমেদাবাদে ভারত-পাক ম্যাচের সময় ডিজে কেন ‘দিল দিল পাকিস্তান’ গান বাজাননি সেটি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট মিকি আর্থার। যদিও এই ইস্যু নিয়ে আইসিসি, বিসিসিআই বা বেঙ্গালুরু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।