লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের উত্থান হয়েছিল বার্সেলোনার যুব একাডেমি ‘লা মাসিয়া’ থেকে।
যুগে যুগে অনেক গ্রেট উঠে এসেছেন সেই যুব প্রকল্প থেকে। তবে একাডেমির ২০০৮ সালের ব্যাচের কথা নিঃসন্দেহে ফুটবল বিশ্বে আলাদা এক জায়গা করে নিবে। ২০০৮ সালের লা মাসিয়া গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে ছিলেন লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকে, সেস্ক ফ্যাব্রিগাসের মত তারকারা।
আর তারকায় ঠাসা এই দলের অধিনায়ক ছিলেন অন্য একজন। বার্সেলোনার ক্লাব সংশ্লিষ্ট অনেকেরই বিশ্বাস, লা মাসিয়ার ২০০৮ গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সেরা খেলোয়াড় ছিলেন না মেসি। সেরার খেতাব পেয়েছিলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ভিক্টর ভাস্কেজ। দুর্দান্ত এই ফরোয়ার্ড তার গতি, ভিশন আর গোল করার দক্ষতায় বিমোহিত করেছিলেন সবাইকে।
তবে পেপ গার্দিওলার অধীনে মেসি যখন উড়ন্ত ফর্মে, ভিক্টর তখন আক্রান্ত হন হাঁটুর ইনজুরিতে। এই ইনজুরির কারণে ক্যারিয়ারই শেষ হতে পারতো তার। প্রতিভা থাকার পরেও তাই আর ভিক্টরকে দেখা যায়নি ফুটবলের বড় মঞ্চে।
ভাস্কেজ অবশ্য বার্সেলোনায় সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখানেও ইনজুরি হানা দেয় তার জীবনে। এরপর অনেকটা যাযাবরের মতোই জীবন কেটেছে তার। বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুগ, মেক্সিকোর ক্রুজ আজুল, এলএ গ্যালাক্সি, টরেন্টো এফসির মত ক্লাবে খেলেছেন।
মেসির সেই সতীর্থ ভিক্টর ভাস্কেজ এবার এসেছেন কলকাতার ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে। গত সপ্তাহের সোমবার ভোররাতে পা রেখেছিলেন কলকাতায়। পেশাদারিত্বের ছাপ দেখিয়ে পৌঁছনোর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি এই স্প্যানিশের।
ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে ভিক্টর বলেছিলেন, ‘দারুণ লাগছে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে। ক্লাবের ইতিহাসের কথা শুনেছি। কোচের কাছে শুনেছি সমর্থকদের আবেগের কথাও। ভারতীয় ফুটবলে তাই নিজের ছাপ রেখে যেতে চাই। ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যের অংশীদার হতে পারলে ভাল লাগবে।’