প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার ত্রাণের প্রথম কিস্তি সোমবার বিকেলে ঢাকায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ সহায়তার ব্যবস্থা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ত্রাণসামগ্রীর একটি প্রতিনিধিত্বমূলক বাক্স হস্তান্তর করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মানবিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবারের আইটেম, শুকনো কেক, বিস্কুট, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী, নারী ও শিশুদের জন্য স্যানিটারি আইটেম। চালানের প্রথম কিস্তিতে ৫৮৭ কেজি ত্রাণসামগ্রী রয়েছে, যা ইজিপ্ট এয়ারওয়েজের নিয়মিত ফ্লাইটের মাধ্যমে মিশরের কায়রোতে পাঠানো হচ্ছে।
কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাস মিশরীয় ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা প্রদানের বর্তমান ব্যবস্থার অধীনে সমন্বয় করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংকটের এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সম্ভাব্য সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় অগ্রসর এবং মিশরে এ মানবিক সহায়তা প্রেরণে সহযোগিতার জন্য ঢাকায় মিশরীয় দূতাবাস ও ইজিপ্ট এয়ারওয়েজকে ধন্যবাদ জানান।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনের জন্য দৃঢ় ও অবিচল সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। গাজার মানুষদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিকে হামাস–ইসরায়েল সংঘাতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, সংঘাতে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। বন্ধ করতে হয়েছে ৩২টি হাসপাতাল। বোমার কারণে ধ্বংস হয়েছে অনেক ভবন। এর নিচে চাপা পড়ে আছে ১ হাজার ৫০০ মানুষ।
সুত্র: উত্তরণবার্তা