চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। শুক্রবার ছুটির দিনে নগর প্রান্তে টানেল পারাপার করতে গিয়ে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েছে মানুষ। পাশাপাশি আনোয়ারা প্রান্তেও দেখা গেছে উৎসুক জনতার ভিড়। আবার অনেক লোকাল বাসকে দেখা গেছে জনপ্রতি ২০০ টাকা নিয়ে টানেল ঘুরিয়ে আনতে।
টানেল কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় বিভিন্ন মোট ৬ হাজার ৫২২টি যানবাহন টানেল অতিক্রম করেছে। এসব যানবাহন থেকে ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ টাকা টোল আদায় করেছে। মানুষ ও যানবাহনের চাপের কারণে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বহুল প্রত্যাশিত টানেলের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উভয় প্রান্তে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।
প্রধানত উত্তেজিত যাত্রীরা বিস্ময়কর কাঠামোর অভিজ্ঞতা নিতে গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং বাসের মতো বিভিন্ন ভাড়ার যানবাহন নিয়ে টানেলে প্রবেশ করছে। বেশ কয়েকটি বাসকে জনপ্রতি ২০০ টাকা ভাড়া নিয়ে টানেলের দুই প্রান্তে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সূর্যাস্তের এক ঝলক দেখার জন্য এবং তারপরে সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষ, বেশিরভাগ শিশু এবং তরুণরা সেখানে ভিড় জমায়। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে দীর্ঘ লাইন। দর্শনার্থী ও যানবাহনের চাপের কারণে শহর প্রান্তে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।
নগরীর জিইসি মোড় থেকে আসা দর্শনার্থী ফাইরুজ ফাইজা জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাসা থেকে যাত্রা শুরু করে প্রচন্ড চাপের কারণে সন্ধ্যা ৬টার দিকে টানেলে পৌঁছাতে পারে। তবে উচ্ছ্বসিত ফাইরুজ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশের টানেল পার হওয়ার পর সব ব্যথা দূর হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর পতেঙ্গা প্রান্তে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে টানেল উদ্বোধন করেন।