দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী ১৫১টি আসনে একক জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত সর্বশেষ খবরে আওয়ামী লীগ ১৫১টি আসনে জিতেছে। দেশের মোট ৩০০ আসনের মধ্যে সরকার গঠন করতে দরকার ১৫১ আসন। তবে এবার প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ–২ আসনের ভোট আগেই স্থগিত হয়। ফলে ভোটগ্রহণ হয় ২৯৯ আসনে। তবে যেকোনো হিসাবেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। আর দলটির সভাপতি হিসেবে সেই সরকারের নেতৃত্বও শেখ হাসিনার কাছেই যাচ্ছে।
নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে নৌকার ধারেকাছেও নেই কোনো দল। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে এখনো সব আসনের ফল পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ মোট ২০৬টি আসনের বেসরকারি ফল ঘোষণা করেছে ইসি।
ভোট গণনার পর থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল প্রকাশ শুরু হয়। প্রাপ্ত ফলে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে টানা অষ্টমবারের মতো ভোটে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সারা দেশে অনিয়মের অভিযোগে ৭টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল হয়। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ২৪টি। ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে পোলিং অফিসার পর্যন্ত দুই লাখের বেশি নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।
এদের মধ্যে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার, ৫৯০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং ৪২ হাজারের বেশি প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৮টি দল অংশ নেয়। বিএনপিসহ বাকি সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দল একক সরকার গঠন করতে হলে ৩০০টির মধ্যে পেতে হয় কমপক্ষে ১৫১টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না হলে অন্য দলের সমর্থন নিয়েও দেশে সরকার গঠনের নজির রয়েছে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মনে করা হয় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত আসন ছিল ২৩০টি। বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি আসন। আর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টির আসন ছিল ২৭টি।
এরপর দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আরও দুটো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এবারও নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।
সুত্র: উত্তরণবার্তা