মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে।
সূচকটিতে আগে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪১তম। ২০২৩ সালে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে।
বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন বাস্তবায়নে অগ্রগতি ও অবকাঠামোগত সুবিধা বেড়েছে। ফলে আগে থাকা পাঁচটি দেশকে পেছনে ফেলে ৪৬ নম্বরে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ।
সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসেল অ্যান্টি মানিলন্ডারিং (এএমএল) সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতি বছর সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক কার্যাবলী পর্যালোচনা করে এই সূচক প্রণয়ন করে। এর আগে গত বছরও এ সূচকে আট ধাপ উন্নতি হয়েছিল বাংলাদেশের। এবার হলো পাঁচ ধাপ।
এএমএল সূচক অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে হাইতি, চাদ, মিয়ানমার এবং কঙ্গো। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হচ্ছে আইসল্যান্ড। দেশটি এএমএল সূচকের র্যাংকিংয়ে ১৫২ নম্বরে অবস্থান করছে। অ্যান্টি মানিলন্ডারিং সূচকে চীন ২৭, যুক্তরাষ্ট্র ১১৯ ও যুক্তরাজ্য ১৪০তম স্থানে অবস্থান করছে।
সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণ হিসাবে প্রতিবেদনে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসেল ইনস্টিটিউট অন গর্ভনেন্স পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এএমএল সূচক নির্ধারণ করে আসছে। এগুলো হচ্ছে, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং আইনগত রাজনৈতিক ঝুঁকি।