চীনের গোয়েন্দাসংস্থাগুলো বিদেশিদের পাশাপাশি নিজ দেশের জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করছে।
চীনা হ্যাকারদের এই গোপন তৎপরতা সম্প্রীতি ফাঁস হয়েছে। এরপরই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলেছে, “চীন বিভিন্ন দেশের সরকারি তথ্য হ্যাক করছে। এমনকি ব্যক্তিগত তথ্যের ওপরেও নজরদারি করছে। শুধু বিদেশি নয়, নিজ দেশের জনগণের ওপরও কড়া নজরদারি করছে।’’
ফাঁস হওয়া ফাইলগুলো চীনের শীর্ষ পুলিশ সংস্থা এবং চীনা সরকারের নানান অংশের সঙ্গে যুক্ত।
নথিগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জামগুলো চীনের ভিন্নমতের লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, যারা সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করছে। বিশেষ করে হংকং বা চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। .
ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, হ্যাকিংয়ের সরঞ্জামগুলো চীনা রাষ্ট্রীয় এজেন্টরা ব্যবহার করে। শুধু চীনে নয়, চীনের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীদের উপরও নজরদারি করে।
চীনা গোয়েন্দারা, বিদেশিদের ইমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে গোপন তথ্য চুরি করে। তারা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এরপর এর আওতায় থাকা একাউন্টগুলোর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা শুরু করে। এজন্য নানা রকম ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় চীনা গোয়েন্দারা।
ফাঁস হওয়া নথিগুলো কীভাবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে এল তা নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়নি।