বিভিন্ন অপরাধে কারাভোগ করা বিদেশি শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিতে চায় মালয়েশিয়া সরকার।
বিদেশি কর্মীদের ঘাটতি পূরণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে দেশটি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সংসদে মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি. শিবকুমার বলেন, সাজা শেষ হওয়া অভিবাসীরা, বিশেষ করে যারা ছোটখাটো অপরাধের জন্য কারাভোগ করেছেন তারা এখনো কাজ করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, আমরা বিদেশি শ্রমিকদের ঘাটতি পূরণে তাদের (পূর্বে অভিযুক্ত) কাজে লাগাতে পারি। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তাদের সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সকসো) মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
সংসদে আরএসএন রেয়ারের (পিএইচ-জেলুটং) একটি সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, সাজা শেষ হওয়া বিদেশি কর্মীদের কাজের সুযোগ দিতে নিয়োগকর্তা এবং কারাগারের মধ্যে সহায়ক কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কি না? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সাজা শেষ হওয়া অনেক বিদেশি শ্রমিককে পুনরায় কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারাগারে বন্দিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং যখন তারা বেরিয়ে আসে, তারা শ্রমে যুক্ত হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে দাতুক আওয়াং হাশিমের (পিএন-পেন্ডং) এক প্রশ্নের জবাবে শিবকুমার বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার ১৫৩ ছিল।
তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ৩০ হাজার ৮২৮ জন সক্রিয় অস্থায়ী ভিসাধারী, ১ লাখ ৫২ হাজার ১৫৮ জনের ভিসা প্রক্রিয়াধীন, যারা এখনো মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেনি এবং ৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ২.০ এর অধীনে নিবন্ধিত করা হয়েছে।
বিদেশি কর্মীদের মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট খাতের শ্রম চাহিদা মেটানো হয়, যা স্থানীয় কর্মীদের মাধ্যমে পূরণ করা কঠিন। তাই বিদেশি কর্মী অধ্যুষিত খাতগুলোতে স্থানীয় কর্মীদের কাজে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মাধ্যমে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে মালয়েশিয়া সরকার।
অন্যদিকে মন্ত্রণালয় কারখানাগুলোকে স্বয়ংক্রিয়করণ, যান্ত্রিকীকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। যার মাধ্যমে উচ্চ-দক্ষ কর্মীদের চাহিদা তৈরি করতে পারে এবং ধীরে ধীরে স্বল্পদক্ষ বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা সম্ভব হবে।