টলিপাড়ায় আড়ি-ভাবের খেলা সারা বছরই চলতে থাকে। এক কোণে কারও মন ভাঙে, তো অন্য কোণে কারও সম্পর্ক গড়ে।
বছর প্রায় শেষের দিকে। বছরের শুরুটা যারা একসঙ্গে করেছিলেন, হাতে হাত রেখে বছরটা শেষ করতে পারছেন না তাদের অনেকেই।
যদি ফিরে দেখা যায়… ২০২৩ সালে যেমন বেশ কিছু নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তেমনই আবার বেশ কিছু জনপ্রিয় জুটির ভেঙে যাওয়া নিয়েও হয়েছে বিপুল চর্চাও হয়েছে। চলতি বছরে টলিউডের কোন কোন তারকার সম্পর্ক ভেঙেছে তা দেখে নেওয়া যাক।
রণজয়-সোহিনী
রণজয় বিষ্ণু ও সোহিনী সরকারের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে প্রথম থেকেই। তাদের প্রেম পর্বের শুরুতে যেমন চর্চা হয়েছিল, তেমনই বিচ্ছেদ নিয়েও চর্চা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে। মাঝে এক বার বিচ্ছেদের কথা রটলেও তার পর আবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাদের। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করলেও এ বছরের মাঝামাঝি সময় বিচ্ছেদের কথা মেনে নেন সোহিনী। দু’জনের কেউ-ই এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
জীতু–নবনীতা
২০১৯ সালের মে মাসে নবনীতা দাসকে বিয়ে করেন জীতু কমল। সিরিয়ালের সেটেই তাদের প্রেম, এরপর বিয়ে। বিয়ের চার বছরের মাথায় বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আনেন নবনীতা। অনেকদিন ধরেই নাকি তারা আলাদা থাকছিলেন। তারপর সবাইকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন নায়িকা।
যদিও নবনীতা যে ফেসবুকের পাতায় বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করবেন, তা জানতেন না জীতু। সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে অভিনেত্রী মুখ খুললেও কোনো কথাই বলেননি জীতু। তিনি বারবার জানিয়েছেন, স্ত্রীর নিন্দা তিনি করবেন না, আর শুনবেনও না।
শোভন-স্বস্তিকা
টলিপাড়ার আর এক আবেগঘন প্রেম শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা দত্তের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতা ঘাঁটলেই চোখে পড়ত তাদের নানা আদুরে ছবি। কিন্তু সে সম্পর্কও টেকেনি। নেপথ্যে কী কারণ? তা অবশ্য খোলসা করেননি কেউই। বরং স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন ‘হ্যাপি নোট’-এ সম্পর্ক শেষ করতে চান তিনি। যদিও শোভন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি।
সৌপ্তিক-রণিতা
অভিনেতা সৌপ্তিক ভট্টাচার্য এবং রণিতা দাসের সম্পর্ক বহু বছরের। ‘ধন্যি মেয়ে’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। তারপর থেকেই সম্পর্কের শুরু। একসঙ্গে থাকতেনও তারা। মুম্বই গিয়েছিলেন। একসঙ্গে প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে ছন্দপতন।
শোনা গিয়েছিল, খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন তারা। যদিও সে সম্পর্ক গড়াল না ছাঁদনাতলা পর্যন্ত। ২০২৩ সালেই প্রকাশ্যে আসে সৌপ্তিক ও রণিতার বিচ্ছেদের কথা।