পুষ্পা, লকডাউনের পর এই সিনেমা দর্শকদের হলমুখী করিয়েছিল।
রাতারাতি ভাইরাল হয়ে উঠেছিল পুষ্পা চরিত্র। পর্দায় আল্লু অর্জুন। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল তার লুক। প্রতিটা পদে পদে নিজেকে যেভাবে তিনি এই ছবিতে ভেঙেছেন, গড়েছেন। এক কথায় আল্লুর অতীতের লুকের সঙ্গে তার সামঞ্জস্য পাওয়াটাই ছিল দুষ্কর।
গায়ের রং চাপা, গালে চাপ দাড়ি, পরনে লুঙ্গি, শার্ট, হাঁটা চলার মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন। টলিউড অর্থাৎ দক্ষিণী দুনিয়ার অন্যতম চকলেট বয় যে রাতারাতি এই বেশ ধারণ করতে পারবেন, তা এক কথায় অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি। আল্লুর এই লুক দেখামাত্রই সবাই সিনেমা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বলিউডে তখন মুক্তি পেয়েছে ৮৩। রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। দর্শকশূন্য প্রেক্ষাগৃহ। তবে রাস্তায় রাস্তায় চর্চার কেন্দ্রে পুষ্পা।
যারা করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রেক্ষাগৃহে জাননি, তারা একটা সময়ের পর তা টিভির পর্দায় কিংবা ওটিটি-তে দেখে নিয়েছিলেন। তাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চাও কম নয়। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল সেই চরিত্র। তবে কোথাও গিয়ে যেন পুষ্পা সিনেমার এই জনপ্রিয়তাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়ে গিয়েছে। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে সেই সব খবর। আর সেই জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এবার বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে মাঠে নেমেছে আল্লু অর্জুন। তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে তিনি এই সিনেমায় নিজের ২০০ শতাংশ উগরে দেবেন। বদলে নিলেন মোটা টাকা পারিশ্রমিক। প্রথম ছবির জন্য তিনি নিয়েছিলেন ৪৫ কোটি টাকা। এবার তিনি নিলেন ৮৫ কোটি টাকা।
প্রথম থেকেই আল্লু অর্জুন ঝড় তুলেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। তার টিজার থেকে লুক, সামনে আসতেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল। পুষ্পা ২ ছবিতে যে আল্লু অর্জুনকে আরও এক কদম এগিয়ে শক্তিশালী সুপারস্টার হিসেবে উপস্থাপনা করা হচ্ছে, মিলেছিল তার আভাস। তিন মিনিটের বেশি এই ছবির টিজারের শুরুটাই হলো পুষ্পার খোঁজ দিয়ে। সর্বত্র তোলপাড়, আটটা গুলি লেগেছে পুষ্পার গায়ে, কীভাবে বাঁচবেন তিনি? একমাসের খোঁজ যখন ইতি তখন অনেকেই মনে করতে শুরু করেছে পুষ্পা মৃত। তারপর? এমনই এক চাঞ্চল্যকর টিজার প্রকাশ্যে এসেছে ইতোমধ্যেই। এবার পালা সিনেমার ট্রেলারের।