ভারতের কর্নাটকের চাঞ্চল্যকর মাদক মামলাকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে আসে নতুন নতুন তথ্য।
২০২০ সালে এ মামলায় গ্রেপ্তার হন দক্ষিণী সিনেমার চিত্রনায়িকা সঞ্জনা গালরানি ও রাগিনি দ্বিবেদি। এই দুই নায়িকার মুঠোফোন থেকে পর্নো ভিডিও উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হন সঞ্জনা। সর্বশেষ এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।
এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৮২ দিন কারাগারে ছিলেন সঞ্জনা। সেই অতীত মোটেও সুখকর নয় এই অভিনেত্রীর কাছে। এ বিষয়ে সঞ্জনা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা মিথ্যা অভিযোগ আমার জীবন ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি ইতিবাচক চিন্তার মানুষ এবং জীবন এগিয়ে চলার বিষয়ে আমি বিশ্বাসী। যদিও এটি বলার চেয়ে বাস্তবায়ন করা কঠিন।’
বেঁচে থাকার ইচ্ছাও হারিয়ে ফেলেছিলেন সঞ্জনা। স্মৃতি হাতরে এই অভনেত্রী বলেন, ‘বদনাম, মানুষের অপমান আমার মন বিষিয়ে উঠেছিল। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি আর বাঁচতে চাই না। ওই সময়ে আমি বুঝতে পেরেছিলাম কে কেমন। যাদেরকে বন্ধু মনে করেছিলাম, সত্যি তারা তা নয়। ওই সময়ে পিলারের মতো আমার পাশে ছিল আমার স্বামী পাশা।’
২০২০ সালে ডা. আজিজ পাশার সঙ্গে গোপনে বিয়ে করেন সঞ্জনা। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে জমকালো অনুষ্ঠানের সব আয়োজন বাতিল করেন তারা। বিয়েতে যে অর্থ খরচ করতে চেয়েছিলেন; পরে তা কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ানদের মাঝে বিতরণ করে দেন। ২০২২ সালে পুত্র সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন এই দম্পতি।
২০০৫ সালে তেলেগু ভাষার ‘সোগাড়ু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সঞ্জনা। এরপর তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও মালায়ালাম ভাষার ৪৮টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। বর্তমানে তামিল ভাষার একটি সিনেমার কাজ তার হাতে রয়েছে।
সুত্র: উত্তরণবার্তা