সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
তারা বলেন, সবগুলো ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের বিরুদ্ধে কিংবা ক্ষমতার যোগসাজশ আছে এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আবারও গৃহবধূ ও তার ১২ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ভুক্তভোগী মামলা করতে গেলে তাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, এরকম সব ঘটনা একের পর এক আমাদের সামনে আসছে।
নেতারা আরও বলেন, এগুলো আপাতদৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন মনে হলেও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশে জবাবদিহিতার অভাবে যেভাবে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সরকারি দল ও তার সহযোগীরা ভোগ করছে তার ছায়াতলে থেকে ক্ষমতার উৎকট প্রকাশ হচ্ছে এ ধর্ষণ। দেশে আইন, বিচার, নৈতিকতা সবকিছু যেভাবে ভেঙে পড়ছে, যেভাবে ক্ষমতাসীনরা যা ইচ্ছা তাই করার লাইসেন্স পাচ্ছে। অপরাধ করে শুধু পারই পাচ্ছে না, বরং অপরাধ করার ক্ষমতাকে যেভাবে উদযাপন করা হচ্ছে তা আসলে রাষ্ট্রীয়ভাবে জবাবদিহিতার অভাবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে মঞ্চের শীর্ষ নেতারা আরও বলেন, পুরো অর্থনীতি আজ ক্ষমতাসীন লুটেরা গোষ্ঠীর ভয়ংকর থাবার কবলে, সার্বভৌমত্বও আজ বিপর্যস্ত। এই বিকারগ্রস্ত ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ায় দেশের নারীদের শুধু নয় সমগ্র জনগোষ্ঠী এক আতঙ্কের সমাজে বসবাস করতে হচ্ছে। ফলে বিচারের দাবিই আজ আর যথেষ্ট নয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীসহ অন্যান্যরা।