হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তার স্বাস্থ্যের উন্নতি কিংবা অবনতি কোনোটিই পরিলক্ষিত হয়নি। তবে, আগের চেয়ে মুখে খাবার গ্রহণ কিছুটা বেড়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টেকে বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি কিংবা অবনতি কোনোটিই হয়নি।
কবে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া, জানতে চাইলে আব্দুস সাত্তার বলেন- ম্যাডামের অবস্থা তো খুব বেশি ভালো না। এখন কবে তিনি বাসায় ফেরার ছাড়পত্র পাবেন, এটি নির্ভর করছে মেডিকেল বোর্ডের অনুমতির ওপর। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।
রোববার (৩০ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, ম্যাডামকে যে অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম, এখন তার চেয়ে ভালো আছেন। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকতে চান না। তাকে চিকিৎসকরা বুঝিয়ে হাসপাতালে রাখছেন। শারীরিক অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হলে হয়ত বাসায় ফেরার অনুমতি মিলবে।
গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়নে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বিএনপির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
গত ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালির অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসেন ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।