বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণে জ্বালানি তেল, পানি, বিদ্যুৎ-সহ সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ শুধু যায়, আসে না; কখন আসে তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই।
বুধবার (১৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষ এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, যারা গ্রামে ঈদ করতে গিয়েছিলেন, তারা এসে অনেকে বলেছেন- আইপিএসের বিদ্যুতের ব্যাকআপ যতোটুকু দরকার সেটুকুও পায় না। ১৫-২০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ আসে আবার চলে যায়। ২-৩ ঘণ্টা পর আধা ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ আসে তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায় না। এই ঈদে ঢাকায় গ্যাসের অভাবে মানুষ রান্না করতে পারেনি। বাড়িতে বাড়িতে মাংস নষ্ট হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে।
ফ্রিজ চলে না বিদ্যুতের জন্য, গ্যাসের জন্য, আগুন জ্বলে না বলেও দাবি করেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ওয়াসার পানিতে কীটপতঙ্গে ভরা। এক বছর আগে জনগণ ওয়াসার এমডিকে ঘেরাও করেছিল। তাকে ওয়াসার পানি খেতে দেওয়া হয়েছিল, সে পানি ওয়াসার এমডি খায়নি। যে ব্যক্তি পানির দায়িত্বে তিনি যদি এই পানি না খান তাহলে সাধারণ মানুষ খাবে কেন?
তিনি বলেন, তথাকথিত উন্নয়নের নামে প্রধানমন্ত্রী তিনি পরিবারকে আর ঘনিষ্ঠজনকে লুট করার সুযোগ দিয়েছেন। তারা মানুষের জমিজমা আর সম্পদ দখল করেছে। আজকের পত্রপত্রিকায় তা আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনি কাউকে ছাড়েন না। কিন্তু বেনজিরকে দেশ থেকে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
মিছিলে অংশ নেন বিএনপি’র স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা.জাহিদুল কবির প্রমুখ।