ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৫৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫০০ শিশু এবং ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৬১২ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরাইলে অতর্কিত রকেট হামলা চালায় হামাস। মাত্র ২০ মিনিটে ইসরাইলের দিকে ৫ হাজার রকেট ছোড়ে তারা। একই সঙ্গে স্থল, জল ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। এর পাল্টা জবাবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১৫৩৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫০০ শিশু এবং ২৭৬ জন নারী। আর আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন।
এদিকে, ইসরাইলি হামলায় গাজার অধিকাংশ স্কুল ও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এই অবস্থায় হাসপাতালগুলোর রোগীর সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি নিহতের সংখ্যা এত বেশি যে, হাসপাতালগুলোর মর্গেও জায়গা খালি নেই।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার শিফা হাসপাতাল একসঙ্গে মাত্র ৩০টি মরদেহ সংরক্ষণ করতে পারে। কিন্তু ইসরাইলের হামলার পর মরদেহ এত বেশি আসছে যে, সংরক্ষণাগারে আর কোনো জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়েই হাসপাতালের করিডরে, গ্যারেজে এমনকি হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখতে হচ্ছে। অন্যান্য হাসপাতালের অবস্থাও কমবেশি একই।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাতিসংঘকে বলেছে, ওয়াদি গাজার উত্তরে বসবাসকারী প্রত্যেকের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় সরে যাওয়া উচিত।জাতিসংঘের এক মুখপাত্র এমনটি জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিবিসি এই খবর জানিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, সেখানে বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ, যা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এর মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ গাজা সিটিও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঠিক আগে জেরুজালেমের স্থানীয় সময় রাত ১১টায় এই সতর্কতা জারি হয়।
সামরিক বাহিনী গাজা সিটির বাসিন্দাদের বলেছে, তারা কেবল তখনই তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন, যখন তাদের অনুমতি দিয়ে আরেকটি ঘোষণা দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে গাজার বাসিন্দাদেরও বলা হয়েছে, তারা যেন ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত বেষ্টনী এলাকার কাছে না যায়।