অক্টোবরেই হঠাৎ করে পাল্টে যায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের প্রেক্ষাপট। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেই হামলায় ১৪শ’ ইসরায়েলি নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইসরায়েলের হামলা আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
তবে গাজার এমন উথালপাতাল দিনেও মোটামুটি শান্ত আছে ফাতাহ’র নেতৃত্বাধীন পশ্চিম তীর। অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। উল্টো তিনি বলেছিলেন, ‘হামাসের নীতি ও কাজ কোনোভাবেই গোটা ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
যদিও পরে আব্বাস সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন।
আব্বাসের এমন কাণ্ডে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অধিকাংশ ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনের সেন্টার ফর পলিসি ও সার্ভে রিসার্চের এক ভোটে দেখা গেছে, ৭৮ শতাংশ ফিলিস্তিনি চান আব্বাস পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে ৫৮ শতাংশ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের আগ্রাসন ঠেকাতে সশস্ত্র সংগ্রামকেই সমর্থন করেন। আর ২০ শতাংশ চান সমঝোতার মধ্যে সমাধান। আর ২৪ শতাংশ থাকতে চান শান্তিপূর্ণভাবে।
পশ্চিম তীরে বসবাস করা অনেক ফিলিস্তিনি মনে করেন, আব্বাসের নেতৃত্বাধীন এই ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের হয়েই কাজ করছে। তাদের দমন-পীড়নে সহায়তা যোগাচ্ছে।