মজুরি বৃদ্ধির পরও পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের জেরে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই মিলে প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বন্ধের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
তবে এসব অঞ্চলে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে বলে শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে জানিয়েছেন আশুলিয়া শিল্পায়ন পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী সেগুলোতে কাজ চলছে৷ তাদের কাজ চলমান থাকবে। তবে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরি বন্ধ। এসব কারখানার শ্রমিকরা চলে যায় এবং বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খলতা প্রকাশ করে। এমন ১০০ কারখানা তারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য শ্রম আইনে ১৩ এর ১ ধারায় বন্ধ রয়েছে।
এএম ডিজাইন কারখানার শ্রমিক আয়েশা আক্তার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার কারখানায় এসে কাজ যোগ দেয়ার পরপরই ছুটি দেয়া হয়। এরপর শ্রমিকরা সবাই বাসায় ফিরে যায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ গেছে। আজ সকালে কারখানার সামনে এসে অনির্দিষ্টকালের ছুটির নোটিশ দেখতে পাই। মালিকপক্ষ কী কারণে বন্ধ দিল আমাদের কিছুই জানানো হয় নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মজুরি বাড়ানোর আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের শ্রমিকরা গুলি খেয়ে মারা গেল। তার কোনো বিচার নাই। এখন আবার কারখানা বন্ধ করে দেয়া হলো। তাহলে আমরা শ্রমিকরা কোথায় যাব?’
হলিউড গার্মেন্টসের আঁখি আক্তার নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘কারখানা কবে খুলবে মালিকপক্ষ সেটা জানায়নি। এখন তারা যেকোনো একটা সিদ্ধান্ত নিক। ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা যাই বেতন বাড়িয়ে কারখানা খুলে দিলে আমরা কাজে যোগ দেব। আমরা তো কাজ করতে চাই। কারণ হেলপারের বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে কিন্তু অপারেটরদের তো কোনো ডিসিশন দিচ্ছে না। এজন্য আমরা কাজ করিনি।’
সকাল থেকে দেখা গেছে, আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া, নরশিংহপুর, ছয়তলা, জিরাবো এলাকার দুই পাশে থাকা পোশাক কারখানাগুলো প্রায় বন্ধ রয়েছে। কারখানাগুলোর সামনে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।