ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের প্রায় দেড় মাস পর অবশেষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজায় বর্ধিত মানবিক বিরতি’ প্রস্তাব পাস হয়েছে।
মাল্টার উত্থাপিত প্রস্তাবটি বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ১২টি দেশ ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কেউই ভেটো শক্তি প্রয়োগ করেনি।
উত্থাপিত প্রস্তাবে, বেশ কয়েক দিনের জন্য গাজা উপত্যকায় সংঘাত বন্ধ ও করিডর খোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও তাদের সহযোগীদের পূর্ণাঙ্গ, দ্রুত, নিরাপদ ও বাধাবিহীন চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগেও গাজা যুদ্ধের ইস্যুতে চারবার বৈঠকে বসেছে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে এতদিন ইসরায়েলের ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাধায় কোনো প্রস্তাব পাস হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটি পালনে আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিকে ইসরায়েল এর বিরোধিতা করেছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কমপক্ষে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নাগরিক হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
হামাসের হামলার ওই দিনই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা নির্বিচার ও বিরামহীন হামলায় সাড়ে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে আট হাজারের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধের কারণে গাজায় খাবার, পানি ও ওষুধের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।