জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের দুর্দশা চলছেই। এবার লিগে নিচের দিকে থাকা দল বোখুমের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে টমাস টুখেলের দল।
হতাশাজনক এই হারে অপরাজিত থেকে টেবিলের শীর্ষে থাকা লেভারকুসেনের থেকে ৮ পয়েন্ট দূরে ছিটকে গেল বায়ার্ন।
পয়েন্ট তালিকায় বায়ার্নের আরও নিচে নেমে যাওয়ার ম্যাচে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ওপরে উঠেছেন হ্যারি কেইন। বুন্দেসলিগায় নিজের ২২তম ম্যাচ খেলতে নেমে ২৫তম গোল করেছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। জার্মান ফুটবলের শীর্ষ স্তরের ইতিহাসে এটিই দ্রুততম সময়ে ২৫ গোলের ঘটনা।
এর আগে গত সপ্তাহে লেভারকুসেনের কাছে হারে বায়ার্ন। একই সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্সম লিগের শেষ ষোলোতে প্রথম লেগের খেলায় ল্যাজিওর বিপক্ষে বায়ার্ন ১-০ গোলে হারে। ফলে টানা তিন হারে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন কোচ থমাস টুসেল।
ম্যাচটা ফেবারিটের মতোই শুরু করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। পরিসংখ্যান বলছিল, ম্যাচে বায়ার্নের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৫৬%-এর বেশি। ১৪ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তবে ম্যাচে ফিরতে ৩০ মিনিটও সময় নেয়নি বোখুম। ৩৮ মিনিটে জাপানি ফরোয়ার্ড তাকুমি আসানোর কোণাকুণি শট সমতায় ফেরায় বোখুমকে। ৪৪ মিনিটে স্লটারব্যাকের গোল বায়ার্নকে আরও পিছিয়ে দেয়।
৭৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দায়ত উপামেকানো। এরপর ১০ জনের দলে পরিণত হয় বায়ার্ন। ফলে গোল করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। সেখান থেকেই আসে পেনাল্টি। ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে কেইন গোল করে ব্যবধান কমান।
লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে ২২ ম্যাচ শেষেও বায়ার্নের পয়েন্ট ৫০, সমান ম্যাচে লেভারকুসেনের ৫৮। ৩৪ ম্যাচের লিগে বায়ার্নের ট্রফির সম্ভাবনা যে প্রায় শেষ, সেটা ম্যাচ শেষে স্বীকারও করেছেন বায়ার্ন কোচ টুখেল।
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে শিরোপা খুব একটা বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না। তবে গত মৌসুমে শেষ দিন পর্যন্ত আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম। সেটার পুরস্কারও পেয়েছি। এবারও নিজেদের কাজটা করে যাব।”