ডিফেন্ডার হিসেবে সবশেষ ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ফ্যাবিও ক্যানাভারো।
ইতালিকে ২০০৬ সালে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ শিরোপা। রক্ষণে ক্যানাভারো ছিলেন দুর্দান্ত। নিজের দলের রক্ষণ আগলে রেখেছিলেন লম্বা সময় ধরে। এবার তাকে নামতে হচ্ছে উদিনেসের ডাগআউটে। পরের তিন ম্যাচে দলটিকে ইতালিয়ান লিগে টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ তার সামনে।
রেলিগেশন জোনের ঠিক ওপরে থাকা উদিনেসের সামনে বাকি আছে আর ৫ ম্যাচ। এই শেষের আগেই উদিনেস কোচের দায়িত্ব নিলেন ফ্যাবিও ক্যানাভারো। উদিনেসে তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উদিনেসে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও ২০০৬ সালের ব্যালন ডি’অরজয়ীকে ক্লাবে স্বাগতম জানাচ্ছে, যিনি আমাদের এই মৌসুমে নেতৃত্ব দেবেন, যতদিন না মৌসুম শেষ হয়।’
সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গতকালই নিশ্চিত হয়েছে ইন্টার মিলানের নাম। তবে অবনমনের লড়াই এখনো নিশ্চিত নয়। জুনের শেষ পর্যন্ত এই ক্লাবের দায়িত্বে থাকবেন ফ্যাবিও ক্যানাভারো। সিরি আ’য় টিকে থাকতে মৌসুমের এই পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া উপায় নেই। শেষের এই সময়ে এসে কোচ গ্যাব্রিয়েলে সিওফিকে বরখাস্ত করেছে উদিনেসে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আপাতত ক্যানাভারোর সামনে খুব বড় কোনো বড় প্রতিপক্ষ নেই। তার চ্যালেঞ্জ পরের পাঁচ ম্যাচে উদিনেসকে টিকিয়ে রাখা। এসময় তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে বোলোনিয়া, নাপোলি, লিস, এম্পোলি এবং ফ্রোসিনোন। যার মধ্যে নাপোলিই সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। আরেক প্রতিপক্ষ বোলোনিয়া এবার লিগের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। তারা আছে লিগের চার নম্বরে।
যদিও এর আগে রোমার বিপক্ষে ১৮ মিনিটের এক ম্যাচ শেষ করতে হবে তাদের। রোমার খেলোয়াড় ইভান এনডিকা সেই ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সেই ম্যাচটাই আগে শেষ করা হবে।
গত শনিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভেরোনার কাছে ১-০ গোলে হারের পর সিওফিকে বরখাস্ত করে উদিনেসে। এই হারের পর ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগে ১৭তম স্থানে আছে উদিনেসে। অবনমন অঞ্চলে থাকা ফ্রসিনোনের চেয়ে শুধু গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে তারা। সাসুয়েলো, ফ্রসিনোন, উদিনেসের সঙ্গে এই লড়াইয়ে আছে এম্পোলি আর ভেরোনা।
৫০ বছর বয়সী ক্যানাভারো এর আগে চীন ও সৌদি আরবে কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া ইতালিয়ান ক্লাব বেনেভেন্তোর কোচের দায়িত্বও সামলেছেন এই বিশ্বকাপজয়ী।