বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়।
তবে যখনই জটিলতা দেখা দেয় তখন তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো-মন্দ মিলিয়ে আছে। উনার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা নিয়মিত তাকে দেখতে বাসায় যান। যখন যেটা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে আগামী সপ্তাহে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে। তবে, কবে এবং কখন নেওয়া হবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। বিএনপির এ নেতা ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে একপ্রকার শয্যাশায়ী। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই বিছানায় শুয়ে করতে হয় তাকে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ইউরোলজিক্যাল ও রেসপিরেটরি সমস্যাসহ নারা রোগে আক্রান্ত। গত কয়েক দিন ধরে তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া ও মাঝে মধ্যে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে।
এদিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৩ এপ্রিল তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মিন্টুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আব্দুল আউয়াল মিন্টুর এনজিওগ্রাম করানো হয়। রিপোর্টে তার হার্টে দুইটি ব্লক ধরা পড়ে। পরে সেটিতে রিং বসানো হয়। বর্তমানে তিনি কিছুটা ভালো আছেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টুর একান্ত সহকারী নাজমুল হুদা রাজু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন মিন্টু।